শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর গুলশান, বারিধারা, বাড্ডা, রামপুরা, মগবাজার, মালিবাগ, বাসাবো, মুগদা, মতিঝিলসহ বেশিরভাগ এলাকায় থেমে থেমে ঝুম বৃষ্টি হতে দেখা যায়। এরপর বেলা ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বৃষ্টি না থাকলেও তিনটার দিকে অন্ধকার নেমে আসে পুরো রাজধানীজুড়ে।রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে
এসময় শুরু হয় প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি। আকাশে ছিল বিদ্যুতের চমক। অন্ধকার হওয়ায় দিনের বেলায় রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এছাড়াও ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তাঘাটও ছিল সুনসান নীরবতা। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাসা থেকে বের হননি। তবে যারা জরুরি কাজে বেড়িয়েছেন তারা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
এদিকে শুক্রবার রাজধানীসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। দেশের সব বিভাগেই অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়াও আগামী তিন দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সব বিভাগেই কম-বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১০৯ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে রংপুরে। আর ঢাকায় বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে দুই মিলিমিটার।