শুক্রবার (৩ জুন) রাজধানীর আশকোনা হজ অফিসে ১৪৪৩ হিজরি বর্ষের হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এসব তথ্য জানান। হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আগামী রোববার (৫ জুন) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এদিন সকাল ৯টায় ফ্লাইটটিতে ৪১৯ জন হজ যাত্রী জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবেন। এবার বাংলাদেশ থেকে হজে অংশ নিতে পারছেন ৫৬ হাজার ৫৮৫ জন।
ফরিদুল হক খান বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর বিশ্বের কোনো দেশ হজে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় এ বছর সীমিত সংখ্যক মানুষ হজে অংশগ্রহণ করতে পারছেন। এজন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিশাল সংখ্যক মানুষ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করে থাকে। বেসরকারি এজেন্সিও আমাদের নির্দেশনা মেনে চলে। হজ এজেন্সি হাব এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা হজ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। বিগত ১৩ বছরে এই কার্যক্রমের যে উন্নতি সাধন হয়েছে, তা দেশ-বিদেশে প্রশংসিত। হজ ব্যবস্থাপনা আইন ২০২১ অনুসারে এ বছর আমরা হজ কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
হজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ পরিচালনায় নিযুক্ত কর্মকর্তা ও প্রায় ২০০ জন হজ যাত্রী।