বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি করা তেলের ২৭ শতাংশ ও গ্যাসের ৪০ শতাংশ আসে রাশিয়া থেকে। এর মাধ্যমে রাশিয়া বছরে প্রায় ৪২ হাজার ৯০৯ কোটি ডলার বা ৪০০ বিলিয়ন ইউরো আয় করে।রাশিয়া
থেকে তেল আমদানির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা জারির পর ফের বেড়েছে তেলের দাম। বিবিসি জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার সকালে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১২৩ ডলারের ওপরে উঠেছিল। যা বিশ্ববাজারে দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।সোমবার রাতে ব্রাসেলসে একটি সম্মেলনে সমুদ্রপথে রাশিয়ার তেল পরিবহনের ওপর সর্বসম্মত নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইইউর দেশগুলো। এ নিয়ে চুক্তিও করে ইইউর নেতারা। তাঁদের এমন সিদ্ধান্তের কারণে এখন থেকে রাশিয়ার দুই-তৃতীয়াংশ তেল ইউরোপে রপ্তানির পথ বন্ধ হয়ে গেল। কারণ, রাশিয়ার তেলের দুই-তৃতীয়াংশ সমুদ্রপথেই ইউরোপে যায়।তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও এখন পর্যন্ত রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি ইইউ। শুধু রাশিয়া থেকে জার্মানিতে যাওয়া নতুন একটি গ্যাস পাইপলাইনের পরিকল্পনা স্থগিত হয়েছে। এ ছাড়া আর কোনো উদ্যোগ নেয়নি ইইউর দেশগুলো।