শুক্রবার নৌকাটি ডুবে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কেন, কীভাবে এ ঘটনা সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সাবরাথার উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটে। আফ্রিকা থেকে ইউরোপগামীরা ভূমধ্যসাগরের ভয়ংকর এই রুট ব্যবহার করে আসছে।ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে আবারও নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ২৯ জন। শনিবার (১৬ এপ্রিল) এসব তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
আইওএম বলছে, নৌকাডুরি পর এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া এখনও ২৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৩৫ জনকে বহনকারী কাঠের ওই নৌকাটি ঠিক কী কারণে ডুবে যায় তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
পুরে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় আইওএম জানায়, ‘ভূমধ্যসাগরে ক্রমাগত প্রাণহানির ঘটনা স্বাভাবিক ভাবে নেওয়া উচিত নয়। (দায়িত্ব পালনে) নিষ্ক্রিয়তার মূল্য দিতে হচ্ছে মানুষের জীবন দিয়ে। জোরদার অনুসন্ধান ও উদ্ধার ক্ষমতা এবং একটি নিরাপদ অবতরণ ব্যবস্থাপনা আরও মৃত্যু ও দুর্ভোগ রোধ করার জন্য জরুরিভাবে প্রয়োজন।’
উন্নত জীবনের আশায় অভিবাসীদের উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টায় প্রাণহানির বিষয়টি অনেকটা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে এবং গত শুক্রবারের ঘটনাটি এর সর্বশেষ উদাহরণ। আইওএম’র তথ্য অনুসারে, শুধুমাত্র গত সপ্তাহে লিবিয়ার উপকূলে কমপক্ষে ৫৩ জন মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে সহায়তা প্রদানকারী গোষ্ঠী ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস’র তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরুর দিকে ৯০ জনেরও বেশি আরোহী বহনকারী একটি নৌকা লিবিয়া ছেড়ে যাওয়ার কয়েকদিন পর ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়।আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বহু মানুষ নানা সংকটের মধ্যে পড়ে ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছেন। কয়েক বছর ধরে সেই সংখ্যা বহু গুণে বেড়ে গেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে ৪৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।