রোববার এক বিবৃতিতে মরিয়ম নওয়াজ স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তানের খারাপ সময় শেষ। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, আমার প্রিয় পাকিস্তানের দুঃস্বপ্নের সময় শেষ। এখন সময় ঘুরে দাঁড়ানোর এবং সব কিছু ঠিক করার।অনাস্থা ভোটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে ইমরান খানকে। তিনিই দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী যাকে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হলো।
জাতীয় পরিষদে ভোটাভুটির ফলাফলের পরে গত কয়েক মাসের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পাকিস্তানে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতিতে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন, কেউ হতাশা প্রকাশ করেছেন, কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হয়েছেন; আবার হাস্যকর ও মজার প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন কেউ কেউ।
এদিকে ইমরান খানের বিদায়ের ঘটনায় বেশ খুশি পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজের (পিএমএল-এন) ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ শরীফ।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের ইতিহাসের কালো অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে মাথা নত করি এবং তার নির্দেশনা মেনে চলি ও সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করি। এই লোকটি (ইমরান খান) আমাদের স্বদেশের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করেছিল।
বিদায়ী শিক্ষামন্ত্রী ও পিটিআই’র নেতা শাফকাত মেহমুদ অবশ্য ইমরানের প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোকে ‘পাকিস্তানের জন্য দুঃখজনক দিন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘একজন ন্যায়পরায়ণ ও নির্ভীক নেতা চেনাজানা দুর্নীতিবাজ মাফিয়াদের নিশানায় পড়েছিলেন। এবং তাঁকে বিদায় নিতে বাধ্য করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের সাত দশকের কোনো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করতে না পারার ইতিহাসের অংশ হলেন ইমরান খান।
পার্লামেন্টে জাতীয় পরিষদে ১৭৪ জন সদস্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছে জিও নিউজ। ভোট শেষে ফল ঘোষণা করেন নতুন স্পিকারের দায়িত্ব নেওয়া সরদার আয়াজ সাদিক।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মেনে দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সারের সভাপতিত্বে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অধিবেশন শুরু হয়। দিনভর চলে নাটকীয়তা। কয়েক দফায় অধিবেশন স্থগিত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারবেন না জানিয়ে রাতে পদত্যাগ করেন পাকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার। পরে দায়িত্ব নেন আয়াজ সাদিক। এরপর ভোট অনুষ্ঠিত হয়।