শনিবার মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। ভুয়া ফেসবুক প্রোফাইল ব্যবহার করে সেখানকার বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লা এবং তার ছেলে গুরুদত্ত শুক্লার বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যের অভিযোগে নীরজ কুন্ডার নামে এক থিয়েটার কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল।সাংসদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে খবর প্রকাশের ‘অপরাধে’ থানায় অর্ধনগ্ন করে রাখা হলো সাংবাদিক এবং ইউটিউবারদের। ভারতের মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ তোলা হয়েছে পুলিশ ও স্থানীয় সাংসদের বিরুদ্ধে।
যেই সাংবাদিক ও ইউটিউবার রয়েছেন তার অভিযোগ, স্থানীয় এক বিজেপি এমএলএ’র বিরুদ্ধে আয়োজিত বিক্ষোভের খবর সংগ্রহে গেলে পুলিশ তাকে থানায় ধরে নিয়ে আসে, মারধর করে ও জামাকাপড় খুলে কেবল অন্তর্বাস পরিয়ে রাখে।
কনিষ্ক তিওয়ারি নামে এই সাংবাদিক বলেন, তিনি ও তার ক্যামেরা পারসনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে জনগণের শান্তি বিনষ্টসহ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এমএলএ’র বিরুদ্ধে কেন সংবাদ করা হচ্ছে- পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসা করে।
কনিষ্ক তিওয়ারি বলেন, আমি সিধি জেলার বাসিন্দা এবং সাংবাদিক। শনিবার জোর করে থানায় নিয়ে আমাকে মারধর করা হয়। ছবিতে যাদের দেখা যাচ্ছে, ২ তারিখ রাত ৮টায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং ৩ তারিখ সন্ধ্যা ৬টায় মুক্তি দেওয়া হয়।
তিওয়ারির অভিযোগ ওই থানার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাই ছবিটি তোলেন। তিনি বলেন, আমাদের হুমকি দেওয়া হয়, আমরা যদি ওই খবর প্রচার করি তবে নগ্ন করে আমাদের শহরের রাস্তায় ঘোরানো হবে। এই ছবিটি পুলিশই ভাইরাল করেছে। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন।
পুলিশ বলছে, তিওয়ারির বিরুদ্ধে আগের মামলা রয়েছে। ছবি ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় পুলিশ শুধু জানিয়েছে, তদন্ত করে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে পুলিশ এবং ওই বিজেপি সাংসদ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।