অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ায় জাতিকে অভিনন্দন জানিয়ে ইমরান বলেন, দেশে শাসন পরিবর্তনের বিদেশি প্রচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রকে নাকচ করেছেন ডেপুটি স্পিকার।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আইনসভা ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে পরামর্শ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব জাতীয় পরিষদে খারিজ হওয়ার পর লিখিতভাবে তিনি এই প্রস্তাব জানান। খবর দ্য ডনের।
এর আগে সংবিধানের পঞ্চম অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে অনাস্থা প্রস্তাবটি খারিজ করেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। বিরোধী দলগুলো স্পিকার আসাদ কায়সারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করায় তিনি আজ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, তিনি উদ্বিগ্ন অনেক লোকের কাছ থেকে বার্তা পেয়েছেন। জাতির সামনে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করা হচ্ছে। আমি বলতে চাই, চিন্তা করবেন না, পাকিস্তানে যা হচ্ছে তা আল্লাহ দেখছেন।
এর আগে অধিবেশনের শুরুতে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পদক্ষেপের পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে। সংবিধানের পঞ্চম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নাগরিকের কর্তব্য হচ্ছে দেশের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখা।
তিনি বলেন, গত ৭ মার্চ আমাদের রাষ্ট্রদূতকে একটি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে অন্য দেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। বৈঠকে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পেশ করা হচ্ছে। ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীরা আনুষ্ঠানিকভাবে অনাস্থা প্রস্তাব আনার একদিন আগেই এই ঘটনা ঘটেছিল।
নির্বাচন হওয়া উচিত উল্লেখ করে ইমরান বলেন, অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখেছেন। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী জনগণ যেন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কাকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।
এর আগে স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় ইমরান খানের ভাগ্যনির্ধারণী অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশন ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা ছিল। তাই রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এছাড়া ইসলামাবাদ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এক নোটিশে রেড জোন এলাকায় পাঁচজনের বেশি মানুষের সব ধরনের জমায়েত, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, জোট সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি শরিক দল বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ায় পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ইমরানের দল। বিরোধী দলগুলোর আইনপ্রণেতার সংখ্যা বেড়ে যায়। কোণঠাসা হয়ে পড়া ইমরান খান অবশ্য বরাবরই আত্মপ্রত্যয়ী ছিলেন। শেষ মুহূর্তে ফলাফল পাল্টে দেবেন বলে জোর দিয়ে বলেছিলেন তিনি।