আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি, কৃষিবিদ দিবস। ১৯৭৩ সালের এই দিনে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদ দিবস হিসেবে পালন করছে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘কৃষিবিদ দিবস উপলক্ষে দেশের সব কৃষিবিদকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরিতে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। এ প্রেক্ষাপটে ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদ দিবস উদযাপন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষিই বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতির প্রাণ। অনাদিকাল থেকে এদেশের মানুষ খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানসহ মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য কৃষির ওপর নির্ভর করে আসছেন। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে স্বাধীনতাত্তোরকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি শিক্ষা, গবেষণা, সম্প্রসারণ ও কৃষির উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে কৃষির উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। জাতির পিতার প্রদর্শিত পথেই বর্তমান সরকার কৃষির সার্বিক উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। যার ফলশ্রুতিতে আমরা এখন দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পাশাপাশি শাকসবজি ও ফলমূলসহ মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদির ব্যাপক উৎপাদন জাতীয় পর্যায়ে দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ ‘কৃষিবিদ দিবস-২০২২’ উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করছে জেনে আমি আনন্দিত। কৃষিবিদ দিবসে আমি দেশের সব কৃষিবিদ, কৃষক এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদের চাকরি প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা দেন, যা এদেশের কৃষি, কৃষক ও কৃষিবিদের জন্য ছিল ঐতিহাসিক মাইলফলক। এতে অধিকতর মেধাবী শিক্ষার্থীরা কৃষি শিক্ষায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাংক অনুসরণ করে আমাদের সরকার কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।’
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন কমপ্লেক্স থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হবে। পাশাপাশি ইনস্টিটিউশনের ৬৪টি জেলা শাখায় ও দেশের বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শোভাযাত্রা ও আলোচনাসভাসহ নানা কর্মসূচি পালিত হবে।
এরপর সন্ধ্যা ৭টায় ভার্চুয়াল আলোচনাসভা করবে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সভাপতি ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া। বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনা, আজকের কৃষি ও আগামী দিনের সম্ভাবনা শীর্ষক মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।