" />
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য প্যানোরামিক জাদুঘর নির্মাণের করতে বাংলাদেশকে তুরস্ক সব ধরনের সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া।
তুরস্ক সফরকালে আনাডুলু এজন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার একটি প্যানোরামিক জাদুঘর স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। এই জাদুঘর বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীকে তুলে ধরবে।
খাজা মিয়া বলেন, প্যানোরামিক জাদুঘর নির্মাণের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা ধারণা নিচ্ছি। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আমরা তুরস্ক সফর করেছি। অন্যান্য দেশ থেকেও তথ্য এবং নকশা সংগ্রহের জন্য চেষ্টা করছি।
তুরস্ক সফরকালে খাজা মিয়া ইস্তাম্বুলের প্যানোরামা ১৪৫৩ ইতিহাস জাদুঘর এবং মধ্য আফিয়ন প্রদেশের ভিক্টরি জাদুঘরসহ বেশ কয়েকটি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি প্যানোরামিক মিউজিয়ামের ৩৬০-ডিগ্রি থ্রিডি পেইন্টিং দেখে মুগ্ধ হন। জাদুঘরটিতে ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল বিজয়ের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে খাজা মিয়া বলেন, তুর্কিদের নিজস্ব ধারণা, দর্শন এবং সংস্কৃতি রয়েছে। আমাদেরও নিজস্ব দর্শন এবং সংস্কৃতি আছে। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের মিল আছে। উভয় দেশ অনেক বিষয়ে ধারণা এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারে।
তিনি বলেন, প্যানোরামা জাদুঘর নির্মাণ করতে আমরা তুরস্ক থেকে কিছু স্থপতি, প্রকৌশলী এবং নকশা নেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আমরা তুরস্ক সরকারের সঙ্গে কথা বলব। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গেও কথা বলবো।
তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াভুজ সেলিম কিরণ এবং সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের সাংস্কৃতিক সম্পদ ও জাদুঘর অধিদপ্তরের প্রধান গোখান ইয়াজগি বাংলাদেশকে মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করেছেন যে, আঙ্কারা জাদুঘর স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।
বাংলাদেশ সরকার মেহেরপুর জেলায় মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর প্যানোরামিক জাদুঘর নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। সেখানে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। তৎকালীন ভবেরপাড়ার বৈদ্যনাথতলায় বর্তমান মুজিবনগরের আম্রকাননে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ এই অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, রাজধানী ঢাকায় আরেকটি প্যানোরামিক মিউজিয়াম তৈরি করা যেতে পারে। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনো পরিকল্পনা হয়নি।
এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি বলে জানান খাজা মিয়া। তবে তিনি তুর্কি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যথাযথ সহায়তা পাওয়ার আশা প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন ধরনের সংকটে তুরস্ক আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। আমরাও একই কাজ করেছি। আমি মনে করি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
ndtvbd/news desk