" />
মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে ইতালিকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে স্পেন। এই জয়ে গত জুলাইয়ে ইউরোর সেমিতে হারের বদলা নিল স্পেন। ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই ইউরোতে এই ইতালির বিপক্ষেই হেরে শেষ চার থেকে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল তাদের।
প্রথমার্ধে জোড়া গোলে সফরকারীদের চালকের আসনে বসান ফেরান তরেস। শেষ দিকে একটি গোল শোধ করেন লরেন্সো পেল্লেগ্রিনি। দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা অবশ্য ১০ জন নিয়ে খেলে স্বাগতিকরা। মিলানের এই মাঠে এবারই প্রথম হারল ইতালি। আর সব মিলিয়ে বিশ্ব রেকর্ড ৩৭ ম্যাচ পর হারের তেতো স্বাদ পেল রবের্তো মানচিনির দল।
ম্যাচে ৭৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে স্পেন গোলের জন্য শট নেয় ১৩টি, যার চারটি ছিল লক্ষ্যে। আর স্বাগতিকদের আট শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল।
নেশন্স লিগের সেমিফাইনাল ম্যাচটিতে একবারে তরুণ এক দল গড়েন কোচ লুইস এনরিখ। ইতালিকে মোকাবেলা করার জন্য তিনি দলে রাখেননি জেরার্ড মরেনো, আলভারো মোরাতা, জর্দি আলবা ও পেদ্রিদর মতো খেলোয়াড়কে। তবুও শক্তিশালী ইতালিকে হারিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছে স্পেন।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে ফেরান তরেসের গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। মিকেল ওইয়ারসাবালের কাছ থেকে অস্বস্তিকর উচ্চতায় বল পেলেও ঠিকই জাল খুঁজে নেন ম্যানচেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ড। এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তরেস। ওইয়ারসাবালের চমৎকার ক্রসে অরক্ষিত তরেস নিখুঁত হেডে খুঁজে নেন জাল। এই গোলে আর্লিং হলান্ডের পাশে বসলেন তিনি। নেশন্স লিগে দুই জনেরই গোল ছয়টি করে। সব মিলিয়ে জাতীয় দলের হয়ে ২১ ম্যাচে এটি তরেসের ১২তম গোল।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটের পেল্লেগ্রিনির গোলে ব্যবধান কমায় ইতালি। শেষ পর্যন্ত ২-১ স্কোর লাইন রেখে মাঠ ছেড়েছে দুই দল।