" />
আগামী বছর ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দেশটির সাবেক স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের ছেলে ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। মঙ্গলবার তিনি আসন্ন নির্বাচনে তার আগ্রহের কথা জানান। ফার্দিনান্দ মার্কোস সাধারণ্যে ‘বংবং মার্কোস’ নামে পরিচিত। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছার কথা ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানান তিনি। খবর এনডিটিভির।
ফার্দিনান্দ মার্কোস ছিলেন স্বৈরশাসক। ১৯৮৬ সালে গণঅভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতা থেকে উৎখাত হন। তিন দশকের বেশি সময় পরে তার ছেলে যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সফল হন, তাহলে এটা হবে পরিবারটির জন্য বড় ধরনের সাফল্য।
প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের আগামীতে নির্বাচন না করার পর তার উত্তরসূরি হিসেবে ফিলিপাইনের ক্ষমতায় আসার দৌড়ে শামিল হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বক্সিং আইকন এবং সিনেটর ম্যানি পাকুইয়াও ও ম্যানিলার মেয়র ইসকো মোরেনো।
ফার্দিনান্দ বংবং মার্কোস ২০১৬ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে অংশ নেন। তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট বেনিনো অ্যাকুইনো সমর্থিত লেনি রোব্রেদোর কাছে সামান্য ভোটে হেরে যান। লেনি রোব্রেদোর বাবা ছিলন মার্কোসের সময় বিরোধী দলীয় নেতা।
মার্কোস জুনিয়র নির্বাচনী ফলাফল না মেনে সুপ্রিম কোর্টে নালিশ জানিয়েছিলেন। তবে সুপ্রিমে কোর্টে তার আবেদন নাকচ হয়ে যায়। তবে সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা যায়, তার পারফরম্যান্স এখন আগের চেয়ে ভাল। জরিপে তিনি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। প্রথম হন বর্তমান প্রেসিডেন্ট দুতের্তের মেয়ে ও দাভাও সিটির মেয়র সারা দুতের্তে।
স্বৈরশাসক হিসেবে কুখ্যাত ফার্দিনান্দ মার্কোস দুই দশকের বেশি সময় ফিলিপাইনের ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ নানা অপরাধমূলক কাজ করেছিলেন, যার ফলে তাকে গণরোষের মুখে পড়তে হয়। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অবৈধ অর্থ উপার্জনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি ও তার পরিবার। বাবার এসব অপকর্ম হয়তো ছেলের প্রার্থিতার ক্ষেত্রে প্রবিন্ধক হয়ে দাঁড়াতে পারে।
২০১৮ সালে তিনি রোব্রেডোর পরিবর্তে মার্কোসকে তার উত্তরসূরি হিসেবে পছন্দ করার কথা প্রকাশ করেন। ২০১০৯ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে মার্কোসের বোন ইমি ১২ টি সিনেট আসনের মধ্যে একটিতে জয়লাভ করেন।
৬৪ বছর বয়সী বংবং মার্কোস প্রয়াত স্বৈরশাসক এবং তার স্ত্রী ইমেলদার দ্বিতীয় সন্তান। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘সামাজিক গবেষণায় বিশেষ ডিপ্লোমা’ করেছেন তিনি।
ndtvbd/news desk