" />
মঙ্গলবার ডব্লিউএইচওর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চ্যানেলে দেওয়া সরাসরি বক্তব্যে মারিয়া এই সতর্কতার কথা বলেন। খবর এএফপির করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এখনও বিপদমুক্ত হওয়া যায়নি বলে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কভিড-১৯-বিষয়ক প্রধান মারিয়া ভ্যান কারখোভ।
ডব্লিউএইচওর কভিড-১৯-বিষয়ক প্রধান বলেন, অনেকে মনে করছেন করোনা মহামারি প্রায় শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এই মহামারির ঝুঁকি এখনও শেষ হয়ে যায়নি।
মারিয়া বলেন, পরিস্থিতি এখনও অবিশ্বাস্য রকমের শক্তিশালী। কারণ এই ভাইরাসের ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
করোনাভাইরাস ও টিকা নিয়ে ভুল তথ্যের ছড়াছড়ির কারণে মানুষের মৃত্যু বাড়ছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
মারিয়া বলেন, গত সপ্তাহে বিশ্বে ৩১ লাখ মানুষ নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন আরও ৫৪ হাজার মানুষ। জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থার কাছে এ তথ্য এসেছে। তবে প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
বার্তা সংস্থা এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বে কমপক্ষে ৪৮ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর কভিড-১৯-বিষয়ক প্রধান বলেন, যেসব মানুষ টিকা নেননি, এখন তারাই বেশি করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা যাচ্ছেন। বিভিন্ন দেশের সরবরাহকৃত তথ্য থেকে দেখা গেছে, যারা টিকা নেননি, তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও মৃত্যুহার বেশি।
করোনাভাইরাস নিয়ে ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঘুরতে থাকা ভুল ও মিথ্যা তথ্যের ছড়াছড়ি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মারিয়া। তিনি বলেন, এর কারণেও মানুষ মারা যাচ্ছে।
ডব্লিউএইচওর এই কর্মকর্তা জানান, পরবর্তী ৩ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে মহামারি কেমন আকার ধারণ করতে পারে, তা নিয়ে সংস্থার ভেতরে আলোচনা চলছে। তবে খুব তাড়াতাড়ি করোনা বিদায় নেবে বলে মনে করেন না তিনি।
মারিয়া বলেন, এখনো অসংখ্য মানুষ আছেন, যারা টিকার বাইরে রয়েছেন। হয় তারা টিকা পাননি, অথবা তারা টিকা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আর এ কারণে এখনো করোনার বিস্তার চলছে।
করোনাভাইরাস নির্মূলে বৈশ্বিক পদক্ষেপের ঘাটতি নিয়ে তিনি বলেন, বৈশ্বিক পর্যায়ে এই ভাইরাস নির্মূল করার সুযোগ আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। এর কারণ হলো, বৈশ্বিক পর্যায়ে এই ভাইরাস মোকাবিলায় যতটা কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যেত, তা নেওয়া হয়নি। ndtvbd/news desk