বিএনপি-জামাতের জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চেয়েছেন।
বিচারক তার বিরুদ্ধে দেওয়া সাত সাক্ষীর সাক্ষ্য বাবরকে পড়ে শোনার এবং এবিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চান।
জবাবে বাবর নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং কোনো সাফাই সাক্ষ্য দেবেন না মর্মে আদালতকে জানান।
পরে বিচারক ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ঠিক করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
২০০৭ সালের ২৮ মে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হওয়া এ আসামির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলাটি ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় দায়ের করা হয়। মামলাটি করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন। তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংক দুইটি এফডিআর-এ ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপনের কথা উল্লেখ করা হয়।
একই বছরের ১২ অগাস্ট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।