" />
সোমবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরখাস্ত গাড়িচালক আবদুল মালেককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অস্ত্র আইনের দুটি ধারায় তাকে এই সাজা দেওয়া হয়।
রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, আবদুল মালেককে অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারা এবং ১৯ (এফ) ধারায় ১৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর সবাই আদালতে সাক্ষ্য দেন। পরে ১৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।
অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি, জাল নোট, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-১ এর পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা করেন।
অস্ত্র মামলায় মালেকের বিরুদ্ধে গত জানুয়ারিতে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত ১১ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন।
মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক ছিলেন। অষ্টম শ্রেণি পাস মালেক ১৯৮২ সালে প্রথম সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পের গাড়িচালক হিসেবে যোগ দেন। বছর চারেক পর তিনি অধিদপ্তরের পরিবহন পুলে যোগ দেন। গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ndtvbd/news desk