" />
ই-কমার্সে বিনিয়োগ করার পর যদি কোন প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে তাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী খুঁজে বের করবে ও শাস্তির ব্যবস্থা আমরা করে দেবো বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।তিনি বলেন, আমাদের কাছে খবর আসছে, সে অনুযায়ী তদন্ত কমিটি কাজ করছে।
আমার অনুরোধ এই খাতে বিনিয়োগ করার আগে আপনারা বুঝে নেবেন আপনাদের ঝুঁকি কতখানি এবং আপনারা কীভাবে পাবেন। সেটা না জেনে আপনারা বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকবেন। ই-কমার্সে যদি কেউ প্রতারণা করে তাহলে আইনানুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেবো।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইভ্যালি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ই-বিজনেস বলুন আর যেটাই বলুন। কতগুলো প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে ইভ্যালি, ধামাকা, ই-অরেঞ্জ। এর মধ্যে কীভাবে যেন আমাদের কয়েকজন জড়িয়ে গেছে। একজনের নাম বলতেই হয়, তিনি একজন প্রখ্যাত সার্জন। তিনি তো আমার কাছে এসে কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন কিছুই জানতেন না। উনি শুধু ধামাকার সঙ্গে টেলিমেডিসিন কীভাবে প্রসার করা যায় সেটা নিয়ে আলাপ হয়েছিল। তার নামটি ধামাকায় দেয়, সেই বেচার এখন বিপদেই পড়েছেন। ইভ্যালির মতো আরও কয়েকটি ই-বিজনেস গ্রাহকের কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছে।
তিনি বলেন, কীভাবে তারা তাদের কমিটমেন্ট পূরণ করবে এটা আমার এখনও জানা নেই। আমরা মনে করি, তারা যে কমিটমেন্ট গ্রাহকদের দিয়েছে তা যদি পূরণ না করে তবে, আমরা আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে আবেদন করছি এ ব্যাপরে লগ্নি ও বিনিয়োগ করার আগে বুঝেশুনে করবেন। আপনারা যাতে প্রতারিত না হন। আপনারা নিজে চিন্তা করবেন এই যে, প্রলোভন দেখাচ্ছে আপনাদের এটা বাস্তব সম্মত কিনা সেটাও নিজেরা চিন্তা করে বিনিয়োগ করবেন। আমি সবাইকে একটা মেসেজটা দিতে চাই বিনিয়োগ করার আগে আপনারা বুঝে নেবেন আপনাদের ঝুঁকি কতখানি এবং আপনারা কীভাবে পাবেন। সেটা না জেনে আপনারা বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকবেন।
মন্ত্রী বলেন, যারা অ্যাটাকটিভ মুনাফার কথা বলছেন যে গাড়ির দাম ১শ টাকা বলছে ৫০ টাকায় দেবে এগুলো বাস্তব সম্মত কিনা, সেগুলো দেখেশুনে বিনিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করছি যেন কেউ প্রতারিত না হয়। প্রতারিত হওয়ায় সম্ভাবনা কী রকম আছে সেটাও তারা যেন যাচাই করে বিনিয়োগ করেন। যারা প্রতারণা করবে তাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী খুঁজে বের করবে ও শাস্তির ব্যবস্থা আমরা করে দেবো। কেউ যদি প্রতারণার উদ্দেশে করে থাকে। আমাদের কাছে খবর আসছে, সে অনুযায়ী তদন্ত কমিটি কাজ করছে।
ই-অরেঞ্জের সঙ্গে জড়িত পুলিশের এক কর্মকর্তা ভারতে গিয়ে আটক হয়েছে তাকে দেশে ফেরত আনার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে। সেগুলো সিস্টেম অনুযায়ী চলে আসবেই। সেগুলো আমাদের সবকিছুই আছে।
ই-কমার্স নিয়ে কোন দুর্বলতা রয়েছে কিনা, তা নাহলে তারা কেন বার বার ছাড় পেয়ে যাচ্ছে বা তদারকি সংস্থার কোন দুর্বলতা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদারকি সংস্থার কোনো ধরনের গাফিলতি এখানে নেই।
যারা ই-কমার্সের অনুমতি দিচ্ছে তাদের কোন দুর্বলতা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আমার কথা হলো যদি কেউ প্রতারণা করে আইনানুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেবো। যারা প্রতারিত হচ্ছেন প্রতারণার শিকার হওয়ার আগেই বার বার চিন্তা করে বিনিয়োগ করবেন, এটা হলো আমাদের অনুরোধ।
ndtvbd/news desk