" />
আফগানিস্তানের জাতীয় দলের জুনিয়র নারী খেলোয়াড়রা তালেবানের চোখ এড়িয়ে আফগান সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে পৌঁছেছে।
তালেবানের দ্বারা নারী অধিকার লঙ্ঘনের ভয়ে একমাস ধরে আত্মগোপণে ছিল এই নারী খেলোয়াড়রা। খবর বিবিসির।
জাতীয় দলের অন্যরা আগেই কাবুল ত্যাগ করেছিল। কিন্তু জুনিয়র নারী খেলোয়াড়রা পাসপোর্টসহ অন্যান্য নথিপত্রের জন্য আটকা পড়েছিল বলে জানা যায়।
পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করে বত্রিশ জন খেলোয়াড় ও তাদের পরিবার ‘ফুটবল ফর পিস’ খেলার জন্য ভিসা পেয়েছে।
পাকিস্তানের ফুটবল ফেডারেশনের একজন কর্মকর্তা জানান, মোট ৮১ জনের একটি দল পেশোয়ার থেকে পূর্ব লাহোরে যাবেন, সেখানে তাদের ফেডারেশনের সদর দপ্তরে রাখা হবে। বৃহস্পতিবার আরও ৩৪ জন যোগ হবে বলেও জানান তিনি।
কর্মকর্তারা জানান, তৃতীয় কোন দেশে আশ্রয়ের আবেদন করার আগে খেলোয়াড়রা ৩০ দিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পাকিস্তানে থাকবে।
দ্য ইন্ডিপেন্ডেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানের নারী খেলোয়াড়রা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দাবি করে।
চিঠিতে দাবি করা হয় যে, আফগানিস্তানে নারীরা তালেবান যোদ্ধাদের দ্বারা মারাত্মক হুমকির মধ্যে রয়েছেন।
তালেবানের হাতে কাবুল দখলের পর আফগানিস্তানের জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালিদা পপেল তালেবান শাসকের সম্ভাব্য প্রতিশোধ থেকে রক্ষার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে নিজেদের খেলার ছবি মুছে ফেলতে বলেন। এছাড়াও তাদের কিট পুড়িয়ে ফেলার জন্য সতর্ক করেছিলেন।
এর আগে তালেবানের সংস্কৃতিবিষয়ক কমিশনের উপপ্রধান আহমাদুল্লাহ ওয়াসিক সাক্ষাৎকারে নারীদের খেলাধুলার কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখেন না বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে নারীরা ক্রিকেট খেলতে পারবেন। কারণ, এটা নারীদের প্রয়োজন নেই।’ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘ক্রিকেট এমন একটি খেলা, যেখানে নারীদের মুখ ও দেহ ঢেকে রাখা কঠিন। ইসলাম নারীদের এ অবস্থাকে অনুমোদন করে না।’তালেবানের সংস্কৃতিবিষয়ক কমিশনের উপপ্রধান আরও বলেন, এখন মিডিয়ার যুগে। এখন খেলায় প্রচুর ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয় এবং এটা মানুষ দেখে। ইসলাম ও ইসলামিক আমিরাত (আফগানিস্তান) নারীদের ক্রিকেট খেলা বা শরীর অনাবৃত হয়, এমন কোনো খেলা অনুমোদন করে না।
ndtvbd/news desk