" />
রোববার সরেজমিনে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, কোনো শিক্ষার্থীর বাহিরে আনাগোনা নেই।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দুটি করে চারটি রুমে বসানো হয়েছে। একজন শিক্ষক তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয়ে আসা ও শ্রেণিকক্ষে থাকার নির্দেশনা দিচ্ছেন। নির্দেশনা দেওয়া শেষ হলে, নিজেরা জায়গায় বসে একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন, গল্প করছেন। এরইমধ্যে একটি কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের চেয়ারগুলো কিছুটা গাদাগাদি করে বসানো হয়েছে। চেয়ারগুলোর মাঝে ফাঁকা খুব কম।লম্বা ছুটির পর খুলেছে দেশের প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। নীরবতা ভেঙেছে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রথম দিনই প্রাণ ফিরেছে বহুদিন সুনসান থাকা বিদ্যাপীঠগুলোতে। তবে অন্যান্য স্বাভাবিক সময়ের মতো স্কুল-কলেজ খোলার প্রথম দিন অভিভাবকের তেমন ভিড় চোখে পড়েনি। স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে ঠিকঠাক। এদিন দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
এদিন প্রতিষ্ঠানটিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের চেয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উপস্থিত কিছুটা কম দেখা গিয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অনেকেই আসেনি। ক্যাম্পাসে আসতে পেরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেলেও কারো কারো মধ্যে কিছুটা আতঙ্কের ছাপও ফুটে উঠে।
এতদিন পর ক্যাম্পাসে আসার অনুভূতি জানতে চাইলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী বলেন, ‘মাস্ক পরেছি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করেছি। তবে ভয় লাগছে, বাসায় কেউ যদি আমার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়! বাসায় বাচ্চা ও বয়স্করা রয়েছেন।
আরেক এইচএসসি পরীক্ষার্থী বলেন, গেইটে তাপমাত্রা মেপেছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েছে, মাস্ক পরতে হচ্ছে। শুরুতে নির্দেশনা দিয়েছে প্রথম ক্লাসে। তারপরও সতর্ক থাকতে হচ্ছে। অনেকদিন বন্ধু ও শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা হলেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখছি।
গেইটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও তাপমাত্রা মাপার পর নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শ্রেণিকক্ষে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরাও আমাদের সহযোগিতা করেছে এবং তারাও বেশ সুশৃঙ্খল ও সচেতন মনে হয়েছে। আমরা সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করছি এবং সফল হচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই বসেছে। সবাই মাস্ক ব্যবহার করেছে, মাস্ক ছাড়া কাউকে ক্লাসে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
ndtvbd/news desk