" />
শরীফ ইমরানের ঠিক করা গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে আগামী ১৫ দিন তাদের থাকতে বলা হয়েছে।
ঢাকা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালককে বলা হয়েছে বিষয়টি দেখভাল (মনিটরিং) করতে এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) বলা হয়েছে বাচ্চাসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।
আদালতের আদেশ সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারকে বলা হয়েছে।
দুই শিশু ও তাদের মা-বাবার সঙ্গে কথা বলার পর এ অদেশ দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ।
আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য রেখে আদালত বলেছে, বিষয়টি তারা পর্যবেক্ষণে রাখবে। কোনো পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ উঠলে তা পুনর্বিবেচনা করা হবে।
বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক ইনায়েতুর রহিম উভয় পক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারাও একটু কো-অপারেট করেন। সবারই মোটিভেশন দরকার। পক্ষ হয়ে গেলে কিন্তু বিষয়টির সমাধান হবে না। আমরা আশা করছি, এটির একটি ভালো সমাধান হবে।”
এর আগে সকালে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে শিশুদের আদালতে হাজির করা হয়। সঙ্গে আসেন মা-বাবা ও শিশুদের ফুপু।
কিছুক্ষণ শুনানির পর আদালত খাস কামরায় নিয়ে দুই শিশু ও তার মা-বাবার বক্তব্য শোনে। এরপর আবার শুনানি শুরু হলে দুই শিশু কোথায়, কার সঙ্গে কীভাবে থাকবে, সে বিষয়ে বিকালে আদেশ দেবে বলে জানায় আদালত।
এই সময়ের মধ্যে এসব বিষয়ে দুই পক্ষকে সমঝোতায় আসতে বলা হয়।
আদালতে নাকানো এরিকোর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। বাবা শরীফ ইমরানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।দুই শিশুর অভিভাবকত্ব চেয়ে জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো রিট আবেদন করলে দুই শিশুকে হাজির করতে গত ১৮ আগস্ট নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।
ndtvbd/ news desk